লোকাল ট্রেন চালুর দাবীতে রেল অবরোধ শ্রমজীবীদের

11th October 2020 12:44 pm হুগলী
লোকাল ট্রেন চালুর দাবীতে রেল অবরোধ শ্রমজীবীদের


সুজিত গৌড় ( হুগলী ) : সমস্ত রাজনৈতিক দলের মিটিং মিছিল যদি চলতে পারে যেখানে স্বাস্থ‍্য বিধিকে বুড়ো আঙুল দেখানো হচ্ছে , যেখানে ভীড়ে ঠাসা বাস যাতায়াত করছে , যেখানে খুলছে দোকান বাজার শপিং মল সেখানে কেন বন্ধ থাকবে শুধু লোকাল ট্রেন ? দিন আনা দিন খাওয়া মানুষদের রুটি রুজিতে মারাত্মক টান পড়েছে লোকাল ট্রেন চালু না হবার জন‍্য । পাঁচ কেজি করে চাল দিলেই তো আর সমস‍্যার সমাধান হয় না । ট্রেন চালুর দাবীতে এবার অবরোধ শুরু হল হুগলীর পান্ডুয়া স্টেশনে । বর্ধমান হাওড়া মেন শাখার পান্ডুয়া স্টেশনে স্পেশাল ট্রেন এসে হাজির হতেই রেল লাইনের উপর বসে শুরু হয় বিক্ষোভ অবরোধ । আন্দোলনকারীরা সকলেই শ্রমজীবী মানুষ । পেটের তাগিদে এক জায়গা থেকে অন‍্য জায়গায় যেতেই হয় । মূলতঃ বেসরকারী কল কারখানায় যে সমস্ত শ্রমিকরা কাজ করেন তাদের যাতায়াতে র প্রধান মাধ‍্যম লোকাল ট্রেন । যে কটি স্পেশাল ট্রেন চলছে সেগুলি শুধুমাত্র রেল কর্মচারীদের জন‍্য । সেই ট্রেনেই উঠে পড়ছেন শ্রমিকরা । রেল পুলিশের কর্মীরা জোর করে নামিয়ে দিচ্ছেন তাদের । এমনটাই অভিযোগ বিভিন্ন বেসরকারি সংস্থায় কর্মরতদের । লোকাল ট্রেন চালু করতেই হবে এই দাবীতে পান্ডুয়া স্টেশন , বৈঁচি গ্ৰাম স্টেশন , হুগলী স্টেশনে শুরু হয় তুমুল যাত্রী বিক্ষোভ । অবিলম্বে সমস‍্যার সমাধান না হলে আরো বৃহত্তর হবে আন্দোলন বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন শ্রমিকরা । 





Others News

নিম্মচাপের জেরে অতিবৃষ্টি : হুগলী জেলায় ব‍্যাপক ক্ষতি চাষে

নিম্মচাপের জেরে অতিবৃষ্টি : হুগলী জেলায় ব‍্যাপক ক্ষতি চাষে


সুজিত গৌড় ( হুগলী ) :  নিম্ন চাপের জেরে শনিবার থেকে অকাল বৃষ্টিতে মাথায় হাত চাষীদের।
জেলায় আলু চাষে ক্ষতির পরিমাণ ছাড়িয়ে যাবে কয়েক লক্ষ টাকার উপর বলে দাবি চাষীদের। ধান জমিতে যেমন ক্ষতির পাশাপাশি হুগলী জেলা জুড়ে ব্যাপক ক্ষতি এবার আলু চাষে। চলতি বছরে বার বার নিম্নচাপ  চাপের জেরে যেভাবে ধান চাষ পিছিয়ে ছিল ঠিক আলু চাষও পিছিয়ে ছিল প্রায় পনোর দিন। তবে গত শুক্রবার পযন্ত হুগলী জেলায় প্রায় ৩০ শতাংশ জমিতে বসানো হয়ে গিয়েছিল আলু এবং ৬০ শতাংশ জমি আলু চাষ উপযোগী করে তুলে ছিলেন চাষীরা। ধান চাষের মত আলু চাষের শুরুতে এবার কাল হয়ে উঠলো অকাল বৃষ্টি। অকাল বৃষ্টির ফলে যে সব জমিতে ইতি মধ্যেই আলু বসানো হয়ে গিয়েছিল, সেই সব জমিতে জল জমে থৈ থৈ করছে। ফলে জমিতে বসানো সমস্ত আলু বীজ পচে নষ্ট হতে বসেছে।  কারণ আলু বসানোর পর অন্তত পনেরো থেকে কুড়ি দিন কোনো জলের প্রয়োজন পরে না আলু চাষের ক্ষত্রে।
এ বছর এক বিঘা জমিতে চাষ উপযোগী করে আলু বসানো পযন্ত চাষীদের খরচ পড়েছে প্রায় পনেরো হাজার টাকা অন্যদিকে আলু বসানোর আগে পর্যন্ত  এক বিঘা জমিকে  চাষ উপযোগী করে তুলতে খরচ পড়েছে প্রায় সাত হাজার টাকা। অর্থাৎ ইতি মধ্যে নিম্ন চাপের জেরে অকাল বর্ষণে হুগলী জেলার ক্ষতির পরিমাণ ছাড়িয়েছে লক্ষ  লক্ষ টাকার উপর। জেলায় আলু চাষের জমির পরিমান ৯০ হাজার হেক্টর জমি। সেমবার সকাল থেকেই  আলু জমি থেকে জল বের করে আলু বীজ বাঁচানোর মরিয়া চেষ্টা করছেন চাষীরা। চাষীদের দাবি অকাল বর্ষণে একেবারে সর্বস্বান্ত  হয়ে পড়েছে। আবার নতুন করে আলু বসানো বা জমি তৈরি করে আবার আলু বসানো অনেকের পক্ষেই আর সম্ভব হবে না।
অন্যদিকে আবহাওয়া উপযোগী হলে পুনরায় জমি আলু চাষের উপযোগী করে আলু বসাতে সময় লাগতে পারে পনেরো থেকে কুড়ি দিন। ফলে আলু চাষে ফলন যেমন কমবে খাবার আলুর জোগানেও পড়বে টান। আগামী দিনে ধানের ক্ষতির ফলে যেমন  চালের যোগান টান পড়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে।  ঠিক তেমনি আগামী দিনে খাবার আলুর জোগানেও টান পড়বে বলে মত চাষীদের।